অক্টোবর ৬, ২০২৪

দুই বছর আগে জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি টিভি১৮ এবার ঝুঁকিতে থাকা সাতটি দেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সংবাদমাধ্যমটির শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এরকম সাতটি দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেছে। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে- পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভেনেজুয়েলা, আর্জেন্টিনা, জাম্বিয়া ও ঘানা।

ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০৮ সালের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। যেখানে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের মতো বিশ্বব্যাপী রেটিং এজেন্সিগুলো বাংলাদেশকে ‘জাঙ্ক’ বা জঞ্জালের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এর পাশাপাশি সম্প্রতি বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতার পটপরিবর্তনের আগে থেকেই বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণ এবং তা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল নিম্নমুখী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

যার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত কয়েক বছরে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি। খাদ্যমূল্য বাড়ার কারণে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট আরও তীব্র হতে পারে। যদিও এখনই কোনো ঋণ সংকট নেই, তবে অর্থনীতির ক্রমাবনতি ঘটছে। এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙ্গা করেছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে এই ঋণের অর্থ ছাড় করছে তারা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকির মুখোমুখি। সেসময় দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *