চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে দুর্নীতির বিভিন্ন মামলায় দুর্নীতিবাজদের ১৩৯ কোটি ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৫৩ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারিক আদালত। একই সময়ে ৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৯ হাজার ৭০১ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেছে সংস্থাটি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুদক থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, জুলাই থেকে অক্টোবর এ চার মাসে ১১২টি মামলা বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে। এর মধ্যে ৭১টি মামলার সাজা হয়েছে। আর চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিম্ন আদালতে দুদকের মোট ৩ হাজার ৩৩৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার মধ্যে ২ হাজার ৯১৩টি মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশে ৩৬৭টি মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
বর্তমানে উচ্চ আদালতে দুদক সংক্রান্ত ৬০৯টি রিট, ৭৬১টি ফৌজদারি বিবিধ মামলা, ৯৬৪টি আপিল মামলা ও ৪৮৯টি ফৌজদারি রিভিশন মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। এছাড়া উচ্চ আদালত কর্তৃক ৪৩টি মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ওই সময়ে আলোচিত রায়ের মধ্যে রয়েছে, টেকনাফের আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, তিতাসের উপ-ব্যবস্থাপক এস এম হাফিজুর রহমান, ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং আলোচিত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদ উদ্দিন খানের রায়।
এ বিষয়ে আরও জানা যায়, টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় গত ৭ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৪ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান এর বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ৬০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।