ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

ডলার সংকট কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। ধারাবাহিকভাবে কমছে প্রবাসী আয়। নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। যা গত মাসের একই সময়ের চেয়ে ১১ কোটি ১৩ লাখ ডলার কম। অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে প্রবাসীরা ডলার পাঠিয়েছিলো ৭৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা। এরপরে আর এই ধারা অব্যাহত থাকেনি। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে আসে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স ধারাবাহিকবাবে কমে যাওয়ার কারণে চাপে পড়ে রিজার্ভ। দেশের ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে পারছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ব্যাপকহারে ডলার ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বর্তমানে রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আলোচিত সময়ে (নভেম্বরের প্রথম ১২ দিন) রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১২ কোটি ১২ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার, বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ লাখ ডলার আর বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ২৩ লাখ ডলার।

এসময় সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এনেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক থেকে। এরপর অগ্রণী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক এবঙ সোনালী ব্যাংক থেকে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। আগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...