ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে এবার মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দিল্লি। ইতোমধ্যে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এখনো কমেনি দ্বন্দ্ব। খবর বিবিসির
সম্প্রতি ভারতের সর্বদক্ষিণের রাজ্য কেরালার উপকূলবর্তী লাক্ষা দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভ্রমণের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
তার এ ছবি প্রকাশের পর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ পর্যটন দেশ মালদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ সমালোচনা করেন। তাদের বক্তব্য, ভারতীয় পর্যটকদের মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষা দ্বীপে ভ্রমণের বার্তা দিতেই এসব ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
কিছু ছবিতে তাকে ‘জোকার’ বা ‘পুতুল’ বলে মন্তব্য করা হয়। আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক নিয়েও। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে মালদ্বীপের মন্ত্রী-রাজনীতিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সেসব মন্তব্য মুছে দিয়েছেন।
মালদ্বীপ সরকার প্রথম দিকে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে সে দেশের বিরোধী দলগুলোও এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারের সমালোচনা শুরু করে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (যাকে পরাজিত করে মুইজ্জু সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছেন) এবং আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ মোদির সমালোচনা করা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন। তারা জানান, ভারত মালদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ ‘মিত্র’। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এরপরই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে মুইজ্জু সরকার তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
বরখাস্ত হওয়া তিন মন্ত্রী হলেন মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মজিদ