নভেম্বর ১৫, ২০২৪

উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন- এসব বিষয়ই সফরে প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিল্লিতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে গিয়ে প্রথম দিন বুধবার দুপুরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সরদার প্যাটেল ভবনে এ বৈঠকে আলোচনা শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাছান মাহমুদ। সৌধ পরিদর্শন বইতেও স্বাক্ষর করেন মন্ত্রী।

এ সময় বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তি যেটি বিরাজমান তা রক্ষা করতে হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি।

রোহিঙ্গা ইস্যুও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সন্ধ্যায় দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহমুদ। তিন দিনের সফরের মধ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য এবং একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে মন্ত্রীর।

মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা থেকে দিল্লি পৌঁছলে হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্মিতা পান্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...