নভেম্বর ২৬, ২০২৪

বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) বরাদ্দের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করছে না বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। সংস্থাটি বলছে, জিসিএফ স্বীকৃত ‘তহবিল পাওয়ার যোগ্য’ ১৫৪টি দেশের মধ্যে ২৫টি (১৬.২%) দেশ প্রকল্প পায়নি। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের। এ ছাড়া ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ৯৬টি দেশের মধ্যে ৮টি দেশ প্রকল্প পায়নি।

আজ মঙ্গলবার ধানমণ্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ দাবি করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবি গবেষক নেওয়াজুল মওলা ও সহিদুল ইসলাম।

সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, অভিযোজন প্রকল্পগুলো অধিকাংশই অনুদানভিত্তিক হওয়ায় প্রকল্প অনুমোদনে জিসিএফের অধিক আগ্রহ দেখাচ্ছে। শুধু অভিযোজনের জন্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলার (২৫.৮%) অনুমোদন করা হয়েছে।

জিসিএফ তহবিলের শুরু থেকে অভিযোজন এবং প্রশমন থিমে বরাদ্দে ৫০:৫০ অনুপাত বজায় রাখার লক্ষ্যমাত্রা গত আট বছরে অর্জিত হয়নি বলেও দাবি সংস্থাটির।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব ঝুঁকিপূর্ণ দেশে অভিযোজনের অর্থায়ন হয়েছে, তার অধিকাংশই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশে জিসিএফ তহবিলের ৯টি প্রকল্পে মোট অনুমোদিত অর্থের মাত্র ১৩.৩ শতাংশ ছাড় করা হয়েছে।

একটি প্রকল্প অনুমোদনের দীর্ঘ তিন বছর পর প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করা হয়েছে। অর্থ ছাড়ে বিলম্ব হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নেও বিলম্ব হয়; ফলে প্রকল্পভুক্ত এলাকায় জলবায়ু ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মধ্যমেয়াদে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কমপক্ষে ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার প্রয়োজনের বিপরীতে পেয়েছে মাত্র এক হাজার ১৮৯.৫ মিলিয়ন ডলার। যা প্রয়োজনীয় মোট অর্থের ৯.৯ শতাংশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...