নভেম্বর ১৫, ২০২৪

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দেশের নির্বাচনে সাধারণত সহিংসতা ও প্রাণহানি হয়ে থাকে। আমাদের জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনও ছিল শান্তিপূর্ণ। জলোচ্ছ্বাস-ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কিছু নির্বাচন পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ তারিখ সেজন্য কিছু নির্বাচন হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬০টি উপজেলার নির্বাচন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। উপজেলায় মোটামুটি একই রকম ফলাফল, এর আগে ৩৬, ৩৭, ৩৮ শতাংশ হয়েছে। এবারেরটা এ রকমই হয়তো হবে।

‘অসংখ্য আজিজ-বেনজির আওয়ামী লীগে আছে’- বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শামসুল হুদা, রকিবুল হুদা, এসপি কহিনুর কার সৃষ্টি? আটজনকে ডিঙিয়ে মঈন ইউ আহমেদকে সেনাপ্রধান কে করেছে? মির্জা ফখরুল সাহেবের এতোটুকু লজ্জা করে না, নিজেরা যা করেছে তা এখন আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
এ সময় সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, দুদক স্বাধীন। মন্ত্রীরাও কোনো দুর্নীতি করলে দুদক তদন্ত ও মামলা করতে পারে। ফখরুল বলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কে আন্দোলন করবে? দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিএনপি! দুর্নীতিবাজ দল-বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে, এটা বছরের সেরা জোক (কৌতুক)।

ভারতের নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের জনগণের রায় নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কোনো প্রয়োজন নাই। ভারতের জনগণ, ভোটাররা যাকে ভোট দিবে, মেজরিটি হবার একটা নিয়ম আছে সাংবিধানিকভাবে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী সরকার চলতে থাকবে, কে এলো, কে গেলো এটা আমাদের বিষয় না। আমাদের বন্ধুত্ব ভারত সরকারের সঙ্গে। বন্ধুত্ব বিশেষ কোনো দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।

ড. ইউনূসের বিচার দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইন অনুযায়ী ড. ইউনূসের বিচার হবে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হবে না।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের সহস্র জননীর কান্নার আওয়াজ এখনো শোনা যায়। যারা ঋণ নিয়ে নির্যাতিত হয়েছে সেটা ভুলে গেলে চলবে কি করে? মামলায় তার (ড. ইউনূস) প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। তার যেটা প্রাপ্য, সুষ্ঠু বিচারই হবে। কোনভাবেই অপমান করার কোন দুরভিসন্ধি আমাদের নেই।

আমেরিকার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বে আমেরিকা একটা বড় শক্তি। তাদের সঙ্গে আমাদের একটা সম্পর্ক আছে, এই সম্পর্ক তারা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরাও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ক্ষোভ, বেদনা থাকার পরও বজায় রাখতে চাই। সম্পর্ক নষ্ট করতে চাই না। তাদের কথা তাদের আপন মানুষ নেতানিয়াহু মানে না। কতদিন হয়ে গেলো, সে বলে হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ শেষ করবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন এমপি, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...