ডিসেম্বর ২, ২০২৪

বেশ কয়েকদিন ডিম নিয়ে নানা নাটকীয়তা দেখেছে দেশের মানুষ। বিভিন্ন অজুহাতে লাফিয়ে বাড়ছিল এর দাম। অবশেষে আমদানি ও আমদানি শুল্ক ছাড়ে ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এবার মুরগির বাজারে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।

এদিকে, বাজারে উঠতে শুরু করেছে হরেক রকম শীতের শাক-সবজি। তবুও কমছে না দাম। এদিকে আলুর দাম বাড়লেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হাতে গোনা দুই-একটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমলেও বেশিরভাগই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে শাক-সবজির দাম। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, হাতেগোনা দু-একটি সবজি ছাড়া কোনোটিই নেই ৮০ টাকার নিচে; বেশিরভাগেরই দাম ১০০ টাকা বা তার ওপরে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, মুলা ৬০-৮০ টাকা, লতি ১০০ টাকা, কহি ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৯০-১০০ টাকা ও পটোল ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ২৫০-২৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৮০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।

দামে পিছিয়ে নেই শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। গত সপ্তাহে কমতির দিকে থাকা কাঁচা মরিচ চলতি সপ্তাহে দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৬০-২৮০ টাকা দরে।

এদিকে বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

বাজারে বেড়ে গেছে আদা-রসুনের দামও। প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৬০ টাকা ও মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৮০ টাকায়।

সুখবর নেই আলু-পেঁয়াজের বাজারেও। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর পেঁয়াজ নতুন করে না বাড়লেও বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। খুচরায় প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ যথাক্রমে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১২-১১৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯২-৯৬ টাকায়।

এদিকে, গত ৭ অক্টোবর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার ও সরবরাহ পরিস্থিতি তদারকি এবং পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...