এপ্রিল ১৮, ২০২৪

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের জীবনেও অপরিহার্য হয়ে পড়ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি তরুনদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার কিংবা সহকর্মীদের সাথে সামাজিক নেটওয়ার্ক রক্ষার প্রযুক্তি যেমন যোগান দেয়, তেমনি জটিল স্বাস্থ্য তথ্য, কর্মজীবন এবং আর্থিক তথ্য প্রাপ্তি সহজতর করে।

বুধবার (৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট স্টাডিজ কর্তৃক আয়োজিত “নারী পুরুষের সমতা আনয়নে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী এবং অতিথি হিসেবে ছিলেন কানাডার হাই কমিশনার হার এক্সেল্যান্সি লিলি নিকোলস।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ আকতারুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট স্টাডিজ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।

মূল প্রবন্ধে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল উদ্ভাবন হলো ব্যবসায়িক কার্যকারিতা বৃদ্ধি, গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নতকরণ এবং নতুন মডেল উদ্ভাবনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধানকল্পে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ডিজাইন, উন্নয়ন ও প্রয়োগ। অন্যদিকে, প্রযুক্তি হলো ব্যবহারিক প্রয়োজনে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রয়োগ। নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতকারী ডিজিটাল প্রযুক্তি। উদ্ভাবন আমাদের জীবন-মান উন্নততর করে উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং জ্ঞান প্রসারিত করে। নারী-পুরুষের সমতা মানে সমাজে ক্ষমতা, প্রভাব ও সম্পদের সুষম বন্টন।

তিনি বলেন, বয়স্ক নারী এবং কিশোরী মেয়েদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির আত্তীকরণ এবং ব্যবহার বাস্তব জীবনের নানা বাঁধা বিপত্তি উত্তরণে সক্ষমতা দেয়। এটি শিক্ষা এবং কাজের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার পাশাপাশি ভবিষ্যতের ডিজিটাল কর্মক্ষেত্রে উপযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লক্ষণীয় যে, পুরুষের তুলনায় নারীর ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ ও ব্যবহারে একটি বড় ব্যবধান দৃশ্যমান। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে নারী পুরুষের মাঝে বিদ্যমান এই অসম ব্যবধানের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে মহিলাদের (১৮ বছরের উর্ধ্বে) ডিজিটাল ডেটা থাকলেও কিশোরী মেয়েদের তথ্য অপর্যাপ্ত। ইউনিসেফ-এর মতে, নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সমঅধিকার নিশ্চিত করে এমন কার্যকরী পদ্ধতিসমূহ উদ্ভাবন করা অত্যন্ত জরুরী।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *