নভেম্বর ১৩, ২০২৪

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড পুনরায় পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক মাসের মধ্যে পরিদর্শন করে হালনাগাদ অবস্থার প্রতিবেদন ডিএসইকে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ধানমন্ডি সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল বিএসইসি। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আরিফ ইসলাম খানকে ২ লাখ টাকা এবং হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টাস মো. কবিরুল ইসলাম ও আইটি ইনচার্জ মো. রুবেল হোসেন সজিবকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন কার্যক্রম চলাকালে স্টক এক্সচেঞ্জের চাহিদা মোতাবেক প্রযোজনীয় তথ্য, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড ও দলিলাদি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনদলকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মার্জিন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ আইন পরিপালন করেনি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবেও অসঙ্গতি পেয়েছে কমিশন।

ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) প্রবিধানমালা, ২০২০ এর বিধি ৫(খ); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ১৭(৪); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮; মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩(১) ও ৩(২); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৬(ক); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ৬(১) ও ৬(৫); বিএসইসির ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্দেশনা; সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর দ্বিতীয় তফসিলের আচরণ বিধি ১ লঙ্ঘন করার প্রমাণ মিলেছে।

তাই, সার্বিক দিক বিবেচনা করে ধানমন্ডি সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলে প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. আরিফ ইসলাম খানের বিরুদ্ধে একইভাবে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩(১) ও ৩(২); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৬ (ক); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ৬(১) ও ৬(৫); বিএসইসির ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্দেশনা; সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর দ্বিতীয় তফসিলের আচরণ বিধি ১ লঙ্ঘন করার প্রমাণ মিলেছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ ইসলাম খানকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে কমিশন।

এছাড়া, হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টাস মো. কবিরুল ইসলামকে ৯টি এবং আইটি ইনচার্জ মো. রুবেল হোসেন সজিবকে ৩টি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...