এবছর ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এজন্য ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োজিত করা হবে। এছাড়া ডিএনসিসির সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা এবং মেয়র নিজেই মাঠে থাকবেন। বর্জ্য অপসারণের বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। হট লাইন নম্বর রয়েছে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে এসব কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছেন। এবছর ৬টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছেন। বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে পারছেন। ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক একাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাট মনিটরিং করছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে হাট বসালে তদারকি টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেই আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করবো।
বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএনসিসি থেকে ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবরগুলো সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫শ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১শ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কোরবানির হাট পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।