নভেম্বর ১৪, ২০২৪

টেরোরিস্টদের কোনো ধর্ম নাই, তাদের কোনো দেশ বা বাউন্ডারি নাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ রোববার (১৩ আগস্ট) জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, টেরোরিজমই হচ্ছে তাদের ধর্ম। আমি নিজে এর ভুক্তভোগী। আমি এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করার পর শত শত হুমকির চিঠি পেয়েছিলাম। সেই চিঠিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসীরা তার পক্ষ হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান এমনকি বৌদ্ধও ছিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে এটা কি ধরনের! সেইদিন থেকেই বুঝলাম এদের আসলে কোনো ধর্ম নাই।

তিনি বলেন, আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ আমাদের ধর্মের মানইজ্জতটা রক্ষা করবেন। কেউ যেন বিপথে না যায়। একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত যারাই কাজ করছেন, কার ছেলে-মেয়ে কোথায় কার সঙ্গে মেশে, কোথায় যায় এগুলো দেখতে হবে। এই যে ইসলামের নামে বদনাম, সেটা ঘোচাতে হবে। সামান্য মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির ধর্ম ইসলাম, তার সঙ্গে কেন সন্ত্রাসী নাম যুক্ত হবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে অন্যান্য ধর্মের জনগণ আছে, তারাও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে। আওয়ামী লীগ সবসময় ইসলামের খেদমত ও উন্নয়নে কাজ করে। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করে।

কারবালার ঘটনার আরেকটি পুনরাবৃত্তি ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে ঘটেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা, আমার ভাইয়ের স্ত্রীদের ছাড়েনি। চার বছরের শিশুকেও ছাড়েনি। সবাইকে হত্যা করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...