নভেম্বর ২৬, ২০২৪

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আবির্ভাবে পাল্টে গেছে ক্রিকেট দুনিয়ার হিসেব-নিকেশ। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

২০০৭ সালে প্রথম শুরু হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার পর থেকে ৮টি আসরে হয়েছে। অতীতের আট আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৬টি দল।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একক আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম আসরে ফাইনালে উঠে এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। ফাইনালে ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানে হেরে যায় পাকিস্তান।

২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শ্রীলংকাকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতে ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
২০১২ সালে শ্রীলংকায় হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ আসর। সেই আসরে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে শ্রীলংকা।

২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়নি। এরপর ২০২১ সালে আরব আমিরাত এবং ওমানে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ ২০২২ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।

আগামী মাসে আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে নতুন কোনো দল শিরোপা জিতবে নাকি অতীতে যারা বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা জিতবে। ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে হলফ করে বলা মুশকিল কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে।

তবে সাবেক তারকারা বিভিন্ন দল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করছেন। ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা বলছেন, এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিরাট কোহলিদের হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতবে তারা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...