পশ্চিমা দেশগুলোর বেঁধে দেয়া প্রাইস ক্যাপে (সর্বোচ্চ মূল্যসীমা) অংশ নিলে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি দেশটির সরকার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাত্কাররে রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেন, জ্বালানি তেল ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা সেসব দেশ ও বৈধ প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে, যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেয়া প্রাইস ক্যাপ চুক্তিতে সম্মত হবে। রাশিয়াকে যদি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হয়, তবে জ্বালানি তেলের উত্তোলনও ৫-৭ শতাংশ হারে কমাতে হবে। পরিমাণের দিক থেকে যা দৈনিক ৫-৭ লাখ ব্যারেল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর প্রাইস ক্যাপ গত ৫ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এতে রুশ জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার। এর পাশাপাশি সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে ইইউর দেশগুলো।
তবে রুশ উপপ্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা, ইউরোপের বাজারে রাশিয়া এর পরও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে। কারণ সেখানে এখনো রুশ জ্বালানি তেলের বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউরোপীয় সহকর্মীরা তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য নিয়মিত অনুরোধ জানাচ্ছেন। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে মূলত তুরস্ক হয়ে ইউরোপের বাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে রাশিয়া।’
একটি গ্যাস হাব স্থাপনে তুরস্কের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে রাশিয়ান গ্যাজপ্রম। অন্যান্য দেশকেও এ উদ্যোগে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান নোভাক।
তিনি বলেন, আলজেরিয়া, ‘কাতার ও আজারবাইজান বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করছে। প্রাথমিকভাবে আমরা একটি গ্যাস হাব স্থাপনের আলাপ-আলোচনা চালিয়ে নিচ্ছি। এতে শুধু রাশিয়ানরাই নয়, বরং অন্য রফতানিকারকরাও অংশ নিতে পারবে। আগামী বছরই তুরস্কে এই হাব স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে এবং ওই বছরই এটি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।