

ক্রিস ওকস দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সর্বশেষ অ্যাশেজে । তিনি তিন ম্যাচ খেলে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর এই ইংলিশ বোলার জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। তার সঙ্গে জ্যাক ক্রলি ও বাস ডি লিড প্লেয়ার অব দ্য মান্থের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এই দুজনকেই ছাপিয়ে মাসসেরা হলেন ওকস। নারীদের ক্রিকেটে জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন অ্যাশলে গার্ডনার।
মাসসেরা হয়ে ওকস বলেছেন, ‘জুলাই মাসে আইসিসি মেনস প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ নির্বাচিত হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। অ্যাশেজে আমরা যা কিছু করেছি তা ছিল একটি দলীয় প্রচেষ্টা, এবং প্রত্যেকে তাদের কাজ না করে কোনো স্বতন্ত্র পুরষ্কার সম্ভব হবে না। তবে স্বীকৃতি পাওয়া সবসময়ই ভালো, বিশেষ করে যখন এটি একটি পাবলিক ভোট হয়।’
অ্যাশেজে প্রথম দুই টেস্টে খেলা হয়নি ওকসের। প্রায় এক বছরের বিরতির পর বল হাতে ফিরে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেন ওকস। এরপর ব্যাট হাতেও ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি।
চতুর্থ টেস্টে ৬ উইকেট ও শেষ টেস্টে ওকস নেন ৭ উইকেট। সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েও সিরিজসেরার পুরষ্কার ওঠে তার হাতে। মাসসেরার লড়াইয়ে ওকসের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্রলি ও বাস ডি লিড। দুজনেই ব্যাট হাতে মাস জুড়ে পারফর্ম করেছেন।
অ্যাশেজে ক্রলি ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ৪৮০ রান করেছেন। সিরিজ জুড়ে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১৮২ বলে খেলেছিলেন ১৮৯ রানের ইনিংস। জুলাই মাসে ৫৮.৮৫ গড়ে ৪১২ রান এসেছে ক্রলির ব্যাট থেকে। ডাচ অলরাউন্ডার ডি লিডও দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। অলরাউন্ড পারফরম্যন্সে নেদারল্যান্ডসকে প্রায় একাই বিশ্বকাপের মূল পর্বে টেনে তুলেছেন বাস ডি লিড। একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের রেকর্ড আছে তার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে।