পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না।
তিনি বলেন, যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সোমালিয়ান জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে।
অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডায় হসপিটাল সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটাল বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয় তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এয়ারপোর্ট এন্ট্রি ভিসা চালু করতে চায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরো বিষয়টি আগে পরীক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করি। তাদের দেশেও যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের লেদার, সিরামিকস, গার্মেন্টস পণ্য আরও ব্যাপকভাবে যাতে রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার, আমরা যে কোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, সমস্ত যুদ্ধ বন্ধ হোক। গাজায় যে নির্বিচারে নারী ও শিশু, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হচ্ছে, সেটি অবিলম্বে বন্ধ হোক সেটি আমরা চাই।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে ১৮০ জন বিজেপি সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তারা হাজতে আছে। আজ আবার নতুন করে ৯ জন এসেছে। তাদের ফেরত নেওয়ার জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি। তাদের নদী পথে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাদের বিমানে করে নেওয়ার জন্য। প্রথমে বিমানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুটা রাজি হলেও পরবর্তীতে তারা নৌপথে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।