গত ৩০ আগস্ট ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় আসেন পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত শুটিং করার কথা ছিল তার; কিন্তু সায়ন্তিকা শুটিং শেষ না করেই হঠাৎ গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় চলে যান। তার এভাবে চলে যাওয়ার নিয়ে নানারকম খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
হোটেল রুমে চার ঘণ্টা কী করেছিলেন জায়েদ-সায়ন্তিকা? এমন প্রশ্ন রেখেছেন প্রযোজক। নায়িকার সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান।
দেশের এক প্রথমসারির গণমাধ্যমের কাছে জায়েদ খান এ অভিযোগকে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দাবি করেছেন।
প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য দুপুর ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটা কখনো দেখিনি। এছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’
প্রযোজকের কথার ভিত্তিতে জায়েদ খান বলেন, সায়ন্তিকা কলকাতার পত্রিকায় ক্লিয়ার করেছে মূল সমস্যাটা কোথায়। এখানে অন্য কোনো ব্যাপার নেই। মাঝখান থেকে কেউ কেউ ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, আমাকে খারাপ বানানোর চেষ্টা করছে। আপনিই বলুন, সায়ন্তিকা কোথায় বলেছে যে মাইকেল কাজ করলে সে কাজ করবে না? হয়তো স্পটে রেগে বলতেও পারে। অফিসিয়ালি তো কোথাও বলেনি, মাইকেলের সঙ্গেই কাজ শেষ করে সে কলকাতায় গেছে।
এই অভিনেতা আরও বলেন, কস্টিউমের সমস্যা রয়েছে। লেদারের কিছু ড্রেস প্রয়োজন; যা যা প্রয়োজন সব জানানো হয়েছে প্রযোজককে। ড্রেস পরিবর্তন করতে গিয়ে যদি ড্রেস না পাওয়া যায় এবং তার বিকল্প কী হতে পারে এসব ঠিক করবে কে? আর সায়ন্তিকা ডেইলিবেসিসে কাজ করেন। তিনি ওই ব্রেকে যাওয়ার সময় হোটেলে পেমেন্ট পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন; কিন্তু প্রযোজক সেটা পাঠাননি, মূলত দেরি হবার এটাই কারণ। এটাকে ইস্যু করার কিছুই নেই। এটাকে একটি চক্র অন্যদিকে ঘটনার মোড় নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমার চরিত্র নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে কালিমা লেপনের চেষ্টা করছে কয়েকজন, যাদের আমি চিনি।