রাতে ঘুমিয়ে পড়লে জানালা দিয়ে নারীদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করত এক ব্যক্তি। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকলে গায়ে হাতও দিত সে। ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাতে ছবি তোলার সময় তাকে ধরতে গেলে সে মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তার মোবাইল ফোনে গ্রামের বিভিন্ন নারীর নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের সাফখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকেই গ্রামটিতে হইচই পড়ে গেছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর ধরে গ্রামটিতে প্রতি রাতেই গভীর রাতে হাজির হতো এক যুবক। নারীরা ঘুমিয়ে পড়লে তাদের ঘুমন্ত অবস্থার আপত্তিকর ছবি তোলা ও ভিডিও করা হতো। এমনকি জানালা দিয়ে গায়ে হাত এবং পাটকাঠি দিয়ে নারীদের শরীরে খোঁচা দিত।
তবে স্বস্তির বিষয় ,গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার টিম শুক্রবার সকালে উপজেলার সাপ খোলা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে শৈলকুপার সাপখোলা গ্রামে রাতের আধারে এ চক্র নারীদের ঘুমন্ত অবস্থায়সহ রাতের ভিডিও ও ছবি ধারণ করে আসছিলো।
ঈদের দিন রাতে গ্রামের কৃষক মামুনুল ইসলাম ফেরদৌসের বাড়ি থেকে গোপনে ভিডিও ধারণের সময় মোবাইলটি কেড়ে নিতে সক্ষম হন।
বিষয়টি গ্রামজুড়ে জানাজানি হলে আতঙ্ক ও উদ্বেগের তৈরি হয়। পুলিশ ফোনটি জব্দ করেছে।
এরপর ভুক্তভোগী মামুনুল ইসলাম ফেরদৌস বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে শৈলকুপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে।
তদন্ত শেষে সাইবার টিম শুক্রবার সকালে সাপ খোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খার ছেলে জুলকার খা ও একই গ্রামের শামসুল বিশ্বাসের মেয়ে জান্নাতী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলিং ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছিলো।