![](https://thebiz24.com/wp-content/uploads/2022/10/PM-Hasina-1.jpg)
![](https://thebiz24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বিজ প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশ কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে। একইসাথে জাতি বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘাতকদের বিচারকাজ শুরুর সময় দেখেছি, হাইকোর্টের বড় বড় জজ সাহেবরাই মামলা করতে চাননি। বিব্রত বোধ করেছেন। আমরা এখন অনেকে মানবাধিকারের কথা বলি। এতো মানবাধিকার সংগঠন, সেদিন কোথায় ছিল। আমার মানবাধিকার হলো, আমার মা-বাবা-ভাই হত্যার বিচার পাওয়া। আমাদের নিজেদের সেটা সমাধান করতে হলো। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৮১ সালে যখন দেশে আসি, মামলা করতে যাই, দেখি আইনে বাধা। আজকে অনেক মানবাধিকারের কথা বলা হয়, আমরা কী অপরাধ করেছিলাম। ১৫ আগস্ট কেউ সন্তান হারিয়েছে, ভাই হারিয়েছে, পিতা-মাতা হারিয়েছে, মনিকে হত্যা করা হলো। কই তখন তো কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমাদের পাশে ছিল বাংলার জনগণ। ’
তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে আমি সরকার গঠন করে সেই অর্ডিনেন্স বাতিল করে বিচার করেছি। বাতিলেও অনেক বাধা আসে। অনেক জজ সাহেবরাও বাধা দিয়েছে। আমাদের সে সব জজ সাহেবরা এখন বড় বড় দার্শনিক হয়ে গেছেন। ’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। তাকে হত্যার পর বিজয়ের চেতনাকে আবারও ফিরিয়ে আনাই ছিল আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জন করতে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমাকে চলতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ রাসেলের ঘাতকের হাতে মৃত্যু হলো। আজকে আনন্দের দিন, শেখ রাসেল পৃথিবীতে এসেছিলেন। পতুলের মতো ছেলে। কালো একরাশ চুল। আমার হাত ধরেই সে হাঁটা শিখলো। কৃতজ্ঞতা জানাই আল্লাহর কাছে যে, সেই হত্যার বিচার করতে পেরেছি। বাংলাদেশ অভিষাপমুক্ত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না বাংলাদেশে আবার এমন অন্যায় ঘটুক। আমাদের অনেক অফিসার মারা গেছেন। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী এদের হাতে মারা গেছেন। আর আমরা পিতাহারা স্বজনের কান্না শুনতে চাই না। ’
তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বব্যাপী যুদ্ধে কত শিশু স্বজনহারা হচ্ছে। শরণার্থী ক্যাম্পে কত শিশু কত কষ্ট পাচ্ছে। আমরা চাই প্রত্যেকের ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সবসময় চেয়েছি, ছোট শিশুদের মেধা বিকাশের যেন সুযোগ হয়। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের কর্ণধার। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে আজকের শিশুরা। কেউ যেন নির্যাতিত না হয়। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটা সম্মান পেয়েছে। বিশ্বে রোল মডেল, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করেছি বলেই এটা পেরেছি। যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই আদর্শ নিয়ে দেশ এগিয়ে যাক এটা আমরা চাই। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক। আমার দেশের মানুষ ভালো থাকুক। ছোট্ট শিশুরা সুন্দর জীবন পাক এই আমাদের চাওয়া।