ইরান-ইসরাইল ইস্যুতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব দেশ জর্ডানের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
ইরানের বেশ কিছু ড্রোন ও মিসাইল থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে জর্ডান।
এ ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক এমিলি হোকায়েম টুইটারে লিখেছেন, ‘জর্ডান প্রমাণ করতে চেয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইলের ভালো সহযোগী; কিন্তু এ বিষয়টি নেতানিয়াহুর কাছে থেকে আশা করবেন না। গাজায় হামলা বন্ধ এবং পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে উস্কানি বন্ধ করার জন্য আম্মানের আহবানের সাড়া দেবে না।’
জর্ডানের নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর মাসুদ মোস্তাজাবি বলেছেন, ‘ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে এই উত্তেজনা যদি পুরোপুরি যুদ্ধে রূপ নেয় তাহলে এখন যাদের ইসরাইলের রক্ষাকর্তা বলে মনে করা হচ্ছে তারাও একসময় আক্রান্ত হবে এবং সেই যুদ্ধে তাদেরও টেনে আনা হবে।’
যদিও এক বিবৃতিতে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, ইসরাইলকে সাহায্য করার জন্য নয়, নিজের দেশকে রক্ষা করার জন্য ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
জর্ডানের রাষ্ট্রক্ষমতায় গত ২৫ বছর ধরে আছেন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। ইসরাইলের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে।