নভেম্বর ২৫, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এবার শিক্ষার্থীদের এই দাবি বাস্তবায়ন করেছে চুয়েট প্রশাসন।

গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) রাত ১ টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে চুয়েট ক্যাম্পাসে সব প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। এদিন চুয়েট সিন্ডিকেটের ১৩৬তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে। এর আগে একইদিন চুয়েট শাখা ছাত্র ইউনিয়নের ১৫ সদস্যের কমিটির সব নেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে পদত্যাগ করেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চুয়েট সংসদের ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে সব নেতার পদত্যাগপত্র পোস্ট করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায়। সেই দাবির প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখে ছাত্র ইউনিয়ন, চুয়েট সংসদের সব সদস্য পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। একইসঙ্গে আজ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চুয়েট বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল। ছাত্রদের অধিকার এবং মত প্রকাশের একটি অরাজনৈতিক মাধ্যম অক্ষুণ্ন থাকে মত ছাত্র সংসদ যেন চালু থাকে সে দাবি জানাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন।

পদত্যাগ করা চুয়েট ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দেবায়ন মুখার্জী বলেন, চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্র রাজনীতি চায় না। তাদের এই দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সবাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমরা চাই, ছাত্রদের অধিকার আদায় ও মত প্রকাশের জন্য চুয়েটে ছাত্র সংসদ চালু করা হোক।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...