চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ ও গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে বিমান বাহিনীর এক সাবেক পাইলটের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। খবর রয়টার্সের।
অভিযুক্ত পাইলটের নাম ড্যানিয়েল ডাগান। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশ হেফাজতে আছেন তিনি। ড্যানিয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নীতি ভঙ্গ করে চীনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ এবং গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন। ২০১৭ সালে ড্যানিয়েলের বিরুদ্ধে এ নিয়ে প্রথম মামলা করা হয়। এখন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু করল মার্কিন সরকার।
চলতি বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া থেকে ড্যানিয়লে ডাগানকে আটক করে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই তাকে আটক করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্যানিয়েল চীনের পাইলটদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ড্যানিয়েল দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বেসরকারি বিমান চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চীনের পাইলটদের ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মোট তিনবার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
কিভাবে বিমানবাহী রণতরীতে নিখুঁতভাবে বিমান অবতরণ করা যায়, চাইনিজ পাইলটদের সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন একজন দক্ষিণ আফ্রিকান এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তবে এ দুজনের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় যুক্তরাজ্যের পাইলটরাও অর্থের বিনিময়ে চীনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এসব তথ্য সামনে আসার পর যুক্তরাজ্য তাদের সাবেক পাইলটদের এ ধরণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে ড্যানিয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর তার আইনজীবী ডেনিস মিরালিসের মন্তব্য নিতে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এর আগে অবশ্য এই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ড্যানিয়েল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স