নভেম্বর ১৬, ২০২৪

চার বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর পতনের সাক্ষী হলো ভারতের দুই পুঁজিবাজার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এসএসই)। ভারতের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের দিন এসে যেন মুখ থুবরে পরলো নির্বাচনের ফলাফলকেন্দ্রীক অনিশ্চয়তার প্রভাবে রীতিমত দোল খেতে থাকা এই স্টক এক্সচেঞ্জগুলো।

আজ মঙ্গলবার (০৪ জুন) নির্বাচনী ফলাফল সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মাঝেই এস অ্যান্ড পি বিএসই সেনসেক্স ৪ হাজার পয়েন্টে কমে যায়। এরপর সময়ের সাথে সাথে সূচক পতন বাড়তে থাকে। সোয়া ১১টা নাগাদ সূচকটি ৭৩ হাজারের নিচে নেমে আসে। সূচক কমে যায় প্রায় ৬ হাজার ২৩৪ পয়েন্ট বা সাড়ে ৮ শতাংশ। তবে পরবর্তী সময়ে সূচক কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়ে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ৪ হাজার ৩৮৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৭২ হাজার ৭৯ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করে।

অন্যদিকে পতনের মুখে পড়ে এনএসইর মূল্যসূচক নিফটি৫০। লেনদেনের প্রথম আড়াই ঘণ্টায় সূচকটি প্রায় ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্ট হারিয়ে দিনের সর্বনিম্ন অবস্থান ২১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে চলে যায়। পরবর্তি সময়ে ধ্বস কিছুটা সামলে উঠলেও চার বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ১ হাজার ৩৭৯ পয়েন্ট পতনে লেনদেন শেষ করে পুঁজিবাজারটি। লেনদেন শেষে সূচক নিফটি৫০ এর দাঁড়ায় ২১ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে।

গত চার বছরে এতবড় ধ্বস দেখেনি ভারতের এই প্রাণবন্ত পুঁজিবাজারগুলো। পুঁজিবাজারগুলোর একের পর এক রেকর্ড এবং স্বচ্ছতার কারণে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়ে এসেছে ভারত। তবে পুরো নির্বাচনকালীন সময় জুড়ে জরিপ, পূর্বাভাস ঘিরে আরবের ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা বাজারগুলো নির্বাচনের ফলাফলের দিন এসে বড় পতনের সাক্ষী হলো।

সর্বশেষ কোভিড-১৯ এর কারণে ভারতে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের ঘোষণায় ২০২০ সালের মে মাসের ৪ তারিখে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ পতন দেখেছিলো বিএসই সেনসেক্স এবং একই তারিখে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ পতন দেখেছিলো এনএসই নিফটি৫০।

তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে ২০২০ সালের ১২ মার্চ বিএসই সেনসেক্স ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং এনএসই নিফটি৫০ ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ পতনের শিকার হয়। একই বছর ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও বাজে রূপ ধারণ করলে লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। ফলে সেই বছরের ২৩ মার্চ বিএসই সেনসেক্স ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং এনএসই নিফটি৫০ ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ পতনের শিকার হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...