কেনাকাটার সুবিধার্থে আগামী সপ্তাহ থেকে চাঁদরাত পর্যন্ত সপ্তাহের সাত দিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে রাজধানীর নিউমার্কেটের সব দোকান।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন।
তিনি জানান, রোজা, পহেলা বৈশাখ ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বেচাকেনার সুবিধার্থে সপ্তাহের সাতদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিউমার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির দিন মঙ্গলবারসহ অন্যান্য দিনেও নিউমার্কেট খোলা থাকবে।
ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর করোনাসহ অন্য সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারেননি। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় রোজার শুরু থেকেই মার্কেটে মানুষের উপস্থিতি থাকবে বলেও আশা করা যাচ্ছে। তাছাড়া অনেক ক্রেতাই রয়েছেন যারা রমজানে বাইরে বের হতে চান না। তাই সবার সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা আগেভাগেই ছুটির দিনে মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামনে পহেলা বৈশাখ ও পরবর্তীতে ঈদুল ফিতর নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। প্রত্যাশা করছি, আগের তুলনায় এবার ব্যবসায় পরিমাণ বাড়বে।
ঈদ মৌসুমের ব্যবসা ঘিরে কোনো ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যরা শুরু থেকেই এই জায়গায় টহল জোরদার করেন। তবে রাতে মার্কেটে আসা সাধারণ মানুষজন যেন নিরাপদে বাড়ি যেতে যেতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নীলক্ষেতের গণতন্ত্র মুক্তি তোরণ থেকে বুয়েট অভিমুখের সড়কটি অনেকটা জনশূন্য হওয়ার কারণে অনেক সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মূলত এই জায়গাটির দায়িত্বে একাধিক থানা হওয়ায় আগেভাগেই পুলিশের টহলের সমন্বয় করা প্রয়োজন। এছাড়াও দুটি ফুট ওভারব্রিজ এবং ফুটপাতগুলো হকার মুক্ত রাখার বিষয়টিও প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
পহেলা বৈশাখ, রমজান এবং ঈদুল ফিতর ঘিরে ব্যবসার নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই জায়গাটিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই আমরা সমন্বিতভাবে নির্ধারণ করতে পারি না কার কতটুকু ব্যবসা হবে। প্রতিটি সেক্টরে আলাদা আলাদা লক্ষ্যমাত্রার ব্যবসা হয়ে থাকে। তবে আমরা প্রত্যাশা করছি এবার আগের তুলনায় ভালো ব্যবসা হবে।
এছাড়াও মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিতে জনসচেতনতা তৈরি, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে বলেও জানান তিনি।