নভেম্বর ২৪, ২০২৪

২০২৩ সালের এই পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে ২,৫০০ জনেরও বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এই কথা বলেছেন।

ইউএনএইচসিআর নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২,৫০০ জনেরও বেশি লোককে মৃত বা নিখোঁজ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।’

এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের একই সময়ের মধ্যে ১,৬৮০ মৃত বা নিখোঁজ অভিবাসীর চেয়ে অনেক বেশী।

তিনি বলেন, ‘জনগণের মনোযোগ থেকে দূরে, স্থলেও অনেকে  প্রাণ হারিয়েছে।’

মেনিকদিওয়েলা বলেন, ‘সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে স্থলপথে যাত্রার পর অভিবাসীরা তিউনিসিয়া এবং লিবিয়ান উপকূল থেকে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার এই রুট ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুরা ‘প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ ইউরোপে সমুদ্রপথে মোট প্রায় ১৮৬,০০০ লোক ইতালি, গ্রীস, স্পেন, সাইপ্রাস এবং মাল্টায় এসেছে।  সংখ্যাগরিষ্ঠ, ১৩০,০০০ এরও বেশি মানুষ ইতালিতে এসেছেন, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর বাসস।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার প্রস্থান পয়েন্ট হিসাবে, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে অনুমান করা হয়,  ১০২,০০০ এরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে এবং ৪৫,০০০ লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

মেনিকদিওয়েলা বলেন, তিউনিসিয়ায় আনুমানিক ৩১,০০০ জনকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বা আটকানো বা নামানো হয়েছে এবং লিবিয়ায় ১০,৬০০ জনকে আটকানো বা নামানো নামানো হয়েছে।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...