আদালতের রায়ের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। ২০২১ সালের চট্টগ্রাম সিটি মেয়র নির্বাচনে কারচুপির কারণে পরাজিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে তিনি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। আজ রোববার সচিবালয়ে নতুন মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। আইন অনুযায়ী এই জনপ্রতিনিধির মেয়াদ নির্ধারণ হবে বলে জানান উপদেষ্টা। শপথ গ্রহণের পর চট্টগ্রাম সিটির নতুন মেয়র জানালেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
আইনি লড়াইয়ে তিন বছর পর বিজয়ী হয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। আজ সকালে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সেই বছরের ২৪শে ফেব্র“য়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন পরাজিত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯শে আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে তৎকালীন মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় গত ১লা অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র পদে জয়ী ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। ৮ই অক্টোবর তাঁকে মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার পর শাহাদাত হোসেন জানান, নান্দনিক শহর হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে চান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে কাউন্সিলর না থাকায় ১৭ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা নতুন মেয়রের সাথে নগরীর উন্নয়নে কাজ করবেন।
বর্তমান মেয়রের মেয়াদ কতদিন হবে, এমন প্রশ্নে হাসান আরিফ জানান, আইন অনুযায়ী মেয়াদ নির্ধারিত হবে।