ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

উপকূলের রক্ষাকবজ সুন্দরবন। সেই সুন্দরবন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে। ঝড় চলে গেলেও রয়ে গেছে ক্ষতচিহ্ন। বনবিভাগের জেটি, মিস্টি পানির পুকুরসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামো। এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৪০টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ। এর মধ্যে ৩৯টি হরিণ রয়েছে। বনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এসব মৃতদেহ।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সোয়া ৮টার দিকে খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন-সংরক্ষক একেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, রেমালের বিষয়ে আমরা পূর্ব থেকেই সতর্ক ছিলাম। যার কারণে মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে অবকাঠামোর বেশকিছু ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবন মায়ের মতো বুক পেতেই আমাদেরকে রক্ষা করে চলেছে। ঝড়ে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হলদে বুনিয়া, কচিকাটাসহ অভয়ারণ্যের ক্যাম্পগুলোর রাস্তা ভেঙে গেছে। পুকুর ডুবে গেছে, পাড় ভেঙে গেছে। বেশকিছু ক্যাম্পের অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে লোকালয়ে ভেসে আসা বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, চুনকুড়ি নামক এলাকা থেকে ৩টি হরিণ উদ্ধার করা হয়। পরে হরিণগুলো সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছি অবমুক্ত করা হয়েছে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে এখানকার পর্যটক চলাচলের কাঠের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙেছে অসংখ্য গাছপালা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...