ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল নিউজিল্যান্ড। টিম সাউদি-ব্লেয়ার টিকনারদের দাপটে ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিনে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দীনেশ চান্দিমালরা অনেক চেষ্টা করেও ইনিংস হার এড়াতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫৮ রান তুলেও ইনিংস এবং ৫৮ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। আর তাতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল কিউইরা।
দুই উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। এ দিন শুরুর ওভারেই ফিরে যান কুশল মেন্ডিস। ১০৬ বলে আটটি চারে ৫০ রান করে থামেন মেন্ডিস। ম্যাট হেনরিকে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে কেন উইলিয়ামসনের মুঠোয় ধরা পড়েন তিনি। এর দুই ওভার পর ফিরে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও। টিকনারের বলে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন ম্যাথিউস। ক্যাচটি লুফে নিতে ভুল করেননি মাইকেল ব্রেসওয়েল। ফেরার আগে ম্যাথিউস করেন ৪৪ বলে দুই রান।
১২৬ রানের জুটি গড়েন ধনঞ্জয়া এবং চান্দিমাল। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই জুটিতে। এই জুটিও ভাঙেন টিকনার। তার করা শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডগ ব্রেসওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চান্দিমাল। ফেরার আগে করেন ৯২ বলে আটটি চারে ৬২ রান। তারপর মাদুশকাকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েন ধনঞ্জয়া। এই জুটি দলের রানের খাতায় যোগ করে আরও ৭৬ রান। আবারও জুটি ভাঙেন টিকনার। তার করা শর্ট বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন মাদুশকা। যা লুফে নেন সাউদি। ৯৩ বলে ৩৯ রান তুলে বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক।
পরের ওভারেই বিদায় নেন ধনঞ্জয়া। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। মাইকেল ব্রেসওয়েলের করা বলে শর্ট লেগে হেনরি নিকোলসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৮৫ বল খেলে ৯৮ রান করেন। ৩১৮ রানে সাত উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে তখনও ম্যাচে রেখেছিলেন দলটির লেজের সারির ব্যাটাররা। ম্যাচটিকে শেষদিনে নিয়ে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন রাজিথা, প্রবাথ জয়সুরিয়া, লাহিরু কুমারারা।
শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেয়া রাজিথা খেলেন ১১০ বল। দিনের শেষ ওভারে তার ২০ রানের ইনিংসের ইতি ঘটিয়েই নিশ্চিত হয় কিউইদের বিজয়। রাজিথার আগে লাহিরু কুমারাকেও ফেরান সাউদি। লাহিরু খেলেন ৪৫ বল, করেন ৭ রান। জয়সুরিয়াও খেলেন ৪৫ বল। মাইকেল ব্রেসওয়েলের শিকার হওয়ার আগে করেন ২ রান। কিউই বোলারদের মধ্যে সাউদি ও টিকনার তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন ব্রেসওয়েল।
প্রথম ইনিংসে ২১৫ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে ৫৮০ তে পৌঁছানো কেন উইলিয়ামসন সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন। শেষ টেস্টেও সেঞ্চুরি করে ম্যাচের শেষ বলে দলকে জেতান তিনি। আর এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২০০ তোলা নিকোলসের হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।