নভেম্বর ২৯, ২০২৪

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) জেলায় ১৫৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ভোজ্য তেলের আমাদানী নির্ভরতা কমিয়ে তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ি এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ৫শ’৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিলো। এ বছর ১৫৩ হেক্টর জমিতে আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে মোট ৪ হাজার ৭শ’২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দপ্তরটি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গত বছর জেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হেক্টরের বেশী জমিতে সরিষার আবাদ হয়। এ বছর আমরা ৪ হাজার ৭শ’২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এতে এ বছর বাড়তি ১৫৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য স্থির করেছি। মাঠে এখনো সরিষা আবাদ অব্যাহত রয়েছে। এ বছর আবাদের এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই কর্মকর্তা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, এবছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলার ১ হাজার ৫শ’ ৩৮ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলার ১ হাজার ১শ’ ২৫ হেক্টর , কোটালীপাড়া উপজেলার ২১৫ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরিষা আবদের জন্য জেলার ৫ উপজেলার ৬ হাজার ২ শ’ কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে ৬ হাজার ২ শ’ কেজি সরিষা বীজ, ৬২ টন ডিএপি সার ও ৬২ টন এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এ কারণে এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । খবর বাসস।

অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। রবি মৌসুমটি সরিষা আবাদের অনুকূলে রয়েছে। এ কারণে এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হতে পারে। এছাড়া গত মৌসুমে বাজারে সরিষার দাম ভাল ছিল। তাই এ বছরও সরিষার ভাল দাম পাবার আশায় সরিষা আবাদে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃস্টি হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...