

গাজায় জিম্মিদের জন্যে ওষুধ ও নাগরিকদের জন্যে মানবিক ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। দোহা ও প্যারিসের মধ্যস্থতায় চুক্তির আওতায় এসব ওষুধ ও ত্রাণ বুধবার গাজায় পৌঁছেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এক্সে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গতকাল ঘোষিত চুক্তির বাস্তবায়ন হিসেবে গাজা উপত্যকায় কয়েকঘন্টা আগে ওষুধ ও ত্রাণ পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, জিম্মিদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়ার বিনিময়ে গাজার নাগরিকদেরও ত্রাণ ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
হামাস ও ইসরায়েলের চুক্তি মোতাবেক ৪৫ জিম্মি এসব ওষুধ পাবে।
এরআগে কাতারের কয়েকটি বিমানে করে এসব ওষুধ ও ত্রাণ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে মিসরের এল আরিশ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ট্রাকে করে গাজায় এসব্ পৌঁছানো হয়।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমানগুলোতে ওষুধসহ ৬১ টন ত্রাণ বহন করা হয়।
ইসরায়েলের তল্লাশি ছাড়াই এসব ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছিল হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য মুসা আবু মারজুক। কিন্তু ইসরায়েলের সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা যথা সম্ভব নিরাপত্তা তল্লাশি চালাবে।
ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এ সময়ে এক হাজার ১৪০ ইসরায়েলী নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। সূত্র বাসস।
ইসরায়েল একই দিন থেকে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৪৪৮ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।