জুলাই ২৭, ২০২৪

ইসরাইলকে আবারও অস্ত্র সাহায্য দিতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্যাকেজটি শত কোটি ডলারের বেশি হবে বলে পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রাফাহ শহরে হামলার মাঝেই আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউজ। তবে এক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

জানা গেছে, নতুন এই প্যাকেজের মধ্যে ট্যাংক রাউন্ড, মর্টার এবং কৌশলগত সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নতুন সেই অস্ত্র সহায়তায় প্রায় ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০ কোটি ডলারের কৌশলগত সামরিক যান এবং ৬ কোটি ডলারের মোর্টরের গোলা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে ঠিক কবে এই সহায়তা প্যাকেজটি পাঠানো হবে তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

এর আগে গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, রাফায় আক্রমণ জোরদার করলে দেশটিতে অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ এক সপ্তাহের ব্যবধানেই মন্তব্য পালটে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্থগিত করা চালানের মধ্যে রয়েছে ২০০০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজনের ৩ হাজার ৫০০ বোমা।

তখন উদ্বেগ প্রকাশ করে বাইডেন প্রশাসন বলেছিলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে বোমা হামলা ঠেকাতেই অস্ত্রে চালান স্থগিত করছে তারা। অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

তবে গাজায় ইসরাইল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে বলে মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।

জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘আমরা মনে করি না গাজায় এখন যা চলছে তা গণহত্যা। আমরা দৃঢ়ভাবে এর প্রত্যাখ্যান করে আসছি।’ এ সময় সুলিভান আরও বলেন, ‘কোনো হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড তা ব্যবহার করেই যুক্তরাষ্ট্র এই মূল্যায়নে পৌঁছেছে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *