নভেম্বর ১৩, ২০২৪

বিজ রিপোর্ট

ডলার সংকটে বড় ধরনের শঙ্কার মধ্যে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। চাপ সামাল দিতে সরকার আমদানি ব্যয় সংকোচনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকও নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে খোলা বাজারে ডলারের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ থেকে ৬০ পয়সা দরে বিক্রি করছে। যা আগের সপ্তাহের শুরুতে খোলা বাজারে কিনতে খরচ করতে হয়েছে ১১২ টাকা।

জানা যায়, দেশে ডলার সংকটের চাপ সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিক ডলার বিক্রি করছে। এতে রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। চাপ কমাতে আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি দ্রব্যগুলোর প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব কারণে ডলার সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছেন আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরবরাহ বাড়ার ফলে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমছে। অনেকে ডলার নিয়ে চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকে অব্যবহূত ডলার দেশে ফেরত নিয়ে আসছেন। এভাবে বাজারে ডলার সরবরাহ বাড়ার ফলে দাম কমছে।

এর আগে খোলা বাজারে ডলারের দর সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় উঠেছিলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের পর দাম কমতে শুরু করে। দর কমে এক সপ্তাহ আগেও ১১২ থেকে ১১৩ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ডলারের দাম আরও কমলো।

এদিকে ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিক ডলার বিক্রি করছে। ফলে রিজার্ভ গত ১৫ মাসের ব্যবধানে প্রায় ১৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার কমে গেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে আরও ৬ কোটি ডলার সরবরাহ করা হয়েছে। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) মোট ডলার বিক্রি করেছিলো ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

রফতানি আয় ও রেমিট্যান্সে ভাটা পড়ায় রিজার্ভে চাপ পড়েছে। ডলার সংকট প্রতিনিয়ত প্রকট আকার ধারণ করছে। চাপ সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিক ডলার বিক্রি করছে। গত কয়েক মাস ডলার সরবরাহ করেও চাপ সামাল দেওয়া যায়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...