নভেম্বর ১৭, ২০২৪

আসন্ন বাজেটে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যটিতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বক্তব্যে খেজুর আমদানিতে শুল্ক ও মূসক আরোপ করার কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমদানি পর্যায়ে বর্তমানে তাজা ও শুকনো খেজুরের ওপর আরোপিত মোট করভারে পার্থক্য রয়েছে। তাই সব ধরনের খেজুরের আমদানি পর্যায়ে সর্বমোট করভার বৃদ্ধিপূর্বক শুল্ক-কর সমতা বিধানের প্রস্তাব করছি। উভয় ধরনের খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে ১৯৭২ সালের ৩০ জুন প্রথম বাজেট পেশ হয়। তখন মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার।

স্বাধীনাতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৩ জন অর্থমন্ত্রী বাজেট ঘোষণা করেছেন। এরমধ্যে মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দুজনেই ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিতই আওয়ামী লীগের হয়ে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন। তিনি প্রথম বাজেট দেন ১৯৮২-৮৩ সালে, এরশাদের শাসনামলে। সেটার আকার ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। আর সবশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তার বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...