ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে বুধবার আঘাত হানে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার তৈরি বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টির পর সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাতেউসুজ মোরাউইচকি।
পোল্যান্ডের পিওদো গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। এরপর জরুরি বৈঠকে বসেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ‘আমি এই মর্মান্তিক ঘটনায় সকল পোলিশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সতর্কতা ও সংযম বজায় রাখতে হবে।’
তাছাড়া পোল্যান্ডের আকাশসীমায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি ও সেনাদের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ম্যাতেউসুজ মোরাউইচকি। তিনি বলেছেন, পোলিশ সশস্ত্র বাহিনীর নির্দিষ্ট ইউনিটকে যুদ্ধের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তাছাড়া আকাশসীমায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার ঘটনায় ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছে রাশিয়া। অধিকৃত দোনেৎস্কে রাশিয়ার নিয়োগকৃত প্রধান ডেনিস পুসিলিন বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে পোল্যান্ডে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি’ করতে চাইছে ইউক্রেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে ‘অন্য দেশগুলোকে জড়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
তবে রাশিয়ার এ দাবিকে ‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া এখন একটি ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব ছড়াচ্ছে যে, পোল্যান্ডে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়েছে সেটি ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর (ছোঁড়া)। এ তথ্য সঠিক নয়। কারও রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করা এবং তাদের মিথ্যাকে প্রশয় দেওয়া উচিত না।
এদিকে পোল্যান্ড এখনো এ ঘটনায় কোনো পক্ষকে সরাসরি দায়ী করেনি। চলমান যুদ্ধে রাশিয়া-ইউক্রেন দুই দেশই রাশিয়ার তৈরি যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
সূত্র: বিবিসি