নভেম্বর ১৬, ২০২৪

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, কোন দেশকে খুশি করতে বাংলাদেশ নির্বাচন করছে না, ভোট বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তাই কোন দেশ কি মনে করলো সেটি আমরা বিবেচনা করবো না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র সচিব এও বলেন যে, নির্বাচনের পর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসবে কিনা তা নিয়ে সরকার এখন ভাবছে না। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকারের লক্ষ্য আপাতত সুষ্ঠু ভোটের দিকে। এরপরও কেউ নিষেধাজ্ঞা দিলে তা মোকাবেলা করা হবে।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছিলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৩৫ দেশ থেকে ১৮০ জন পর্যবেক্ষক ইসিতে আবেদন করেছেন।

সেহেলী সাবরীন জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৩৫ দেশ থেকে ১৮০ জন আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন করেছেন। এর বাইরে নির্বাচনের খবর সংগ্রহে আবেদন করেছেন ৭১ জন বিদেশি সাংবাদিক। ইসি তাদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছে। তবে আবেদনকারীদের তালিকা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি

নির্বাচন উপলক্ষে বিদেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণের সময় সার্বিক সহায়তার জন্য ৩০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। তাদের ‘স্বাগতিক কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি করা হয়েছে। বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ চলাকালে তাদের সার্বিক সহায়তার জন্য ৩০ জন কর্মকর্তাকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বাগতিক কর্মকর্তা (হোস্ট অফিসার) নিয়োগ দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি করা হলো।

এর আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী বিদেশী পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের আবেদন আহ্বান করে গত অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি দেয় নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। আগ্রহীদের ২১ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। এরপর আবেদনের সময় ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে বিদেশী পর্যবেক্ষক ও বিদেশী সাংবাদিকদের ভিসা দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...