কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ শনিবার একটি ফরমান জারি করে শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহকে দেশটির যুবরাজ মনোনীত করেছেন।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কুনা জানিয়েছে, আমিরের ডিক্রি জারির তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে এবং অফিশিয়াল গেজেটে প্রকাশিত হবে।
শেখ সাবাহ আল-খালিদ এর আগে ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বরত সময়ের এক পর্যায় বিরোধী দলীয় এমপিরা তার দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তখন এমপিদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হোন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, কুয়েত তার নির্বাচিত আইন পরিষদকে অন্যান্য উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের অনুরূপ সংস্থার চেয়ে বেশি ক্ষমতা দিয়েছে। আইন পরিষদ আইন পাস বা প্রস্তাবিত আইন আটকে দেওয়া, মন্ত্রীদের প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে শেখ সাবাহ আল-খালিদ ২০১১ সাল থেকে শুরু করে প্রায় আট বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকেই তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন।
তিনি ১৯৫৩ সালে কুয়েতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন।