নভেম্বর ১৬, ২০২৪

ব্যাংক ঋণ পরিশোধে আবারো ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে মেয়াদি ঋণের কিস্তির অর্ধেক পরিশোধ করলেই ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আর খেলাপি করা হবে না। জুনের শেষ দিনের এ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিদ্যমান অশ্রেণিকৃত মেয়াদী প্রকৃতির ঋণসমূহের (স্বল্পমেয়াদী কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণসহ) বিপরীতে এপ্রিল হতে জুন পর্যন্ত সময়ে প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ জুনের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ঋণসমূহ ত্রৈমাসিকে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। মেয়াদী ঋণের জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সমকিস্তিতে অথবা এক কিস্তিতে দিতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণসমূহ যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে। ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের উপর ১ এপ্রিল হতে ৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য কোনোরূপ দন্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না। পুনঃতফসিলের মাধ্যমে অশ্রেণিকৃত হিসেবে প্রদর্শিত ঋণের জন্যও এ সার্কুলারের আওতায় সুবিধা দেওয়া যাবে।

ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকসমূহ তাদের প্রদত্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করে বর্ণিত সুবিধা প্রদান করতে পারবে। সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ আরোপিত সুদ বা মুনাফা নগদে আদায় হবে তা আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৯(১)(চ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা জারি করেছে। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...