ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

আপনি কিশমিশ খেলে যে পুষ্টি পাবেন, মনাক্কাতে সেই পুষ্টিগুণ পাবেন না। ফ্রিজে মনাক্কা থাকলেও কিশমিশের বদলে পায়েসে তা দেওয়া যায় না। কিন্তু ডিটক্স পানীয় হিসাবে আবার মনাক্কা ভেজানো পানি ভালো। কিনতে গেলে দামের দিক থেকেও বিস্তর ফারাক রয়েছে কিশমিশ আর মনাক্কাতে।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, সোনালি হলুদ রঙের কিশমিশ আর মিশকালো রঙের মনাক্কা— দুটিই কিশমিশ কিন্তু দুটিই আঙুর থেকে তৈরি। তবে প্রজাতি আলাদা। কিশমিশে সাধারণত বীজ থাকে না। কিন্তু মনাক্কায় বীজ থাকে। কিশমিশ মিষ্টি হলেও মনাক্কা খেতে টক-মিষ্টির মিশ্রিণ।

আপনি কিশমিশ খেলে যে উপকার পাবেন—

১. কিশমিশে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এ উপাদানটি।

২. কিশমিশে প্রাকৃতিক শর্করা যেমন রয়েছে, তেমনি ফাইবারও আছে যথেষ্ট পরিমাণে। শরীরচর্চা করার আগে বা পরে শক্তির জোগান দিতে পারে এ খাবার।

৩. কিশমিশ পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে পারে । আবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা-ও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মনাক্কা খেলে যে উপকার পাবেন—

১. মনাক্কা আবার শিশু ও নারীর জন্য বিশেষভাবে জরুরি। কারণ এতে আয়রনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। রক্তাল্পতা, দুর্বলতা কিংবা ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে মনাক্কা।

২. কিশমিশের তুলনায় মনাক্কায় ফাইবারের পরিমাণও বেশি, যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। অন্ত্রে ভালো ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

৩. হার্টের জন্য ভালো মনাক্কা। কিশমিশের মতোই পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ মনাক্কা। তবে এসব উপাদানের পরিমাণ মনাক্কায় অনেকটাই বেশি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...