ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

করোনাভাইরাসের ধরন অমিক্রনের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে ধরনটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া গেছে। তবে বাংলাদেশে এখনও পাওয়া যায়নি।

সরকার বলছে, এ নিয়ে তারা সতর্ক অবস্থায় আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, করোনার এ নতুন উপধরন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা প্রচলিত ভ্যাকসিনের ওপরই আস্থা রাখছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি এসব তথ্য জানায়। ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, শীতে কভিড ছাড়াও অন্যান্য রোগের সংক্রমণ বাড়তে পারে। এরই মধ্যে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের কাছাকাছি দেশগুলোতে ফ্লু ভাইরাস, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণকারী ভাইরাস (আরএসবি) ও শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে কভিডের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ক্রমেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় ভয়াবহ মহামারির রূপ নেওয়া করোনা বার বার ধরন পাল্টিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এর অমিক্রন ধরনটি বেশি সক্রিয়। কার্যত এ ধরন থেকেই জন্ম নিয়েছে জেএন ডট ওয়ান ধরনটি। বর্তমানে এটি বেশি ছড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসিপি) জানিয়েছে, জেএন ডট ওয়ান এখন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটির মোট সংক্রমণের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ শতাংশ এ উপধরনের কারণে হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি বলছে, বর্তমানে গবেষণাগারে মোট করোনা পরীক্ষার প্রায় সাত শতাংশই জেএন ডট ওয়ান ধরন। এটি ছাড়াও অন্য ধরনগুলোর বর্তমান অবস্থা তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির গোয়া, মহারাষ্ট্র ও কেরালায় ২১ জন জেএন ডট ওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন। এ উপধরন ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এর স্পাইক প্রোটিনের সংখ্যা অন্য ধরনগুলোর চেয়ে বেশি।

দেশে শনাক্ত আটজন হলেও উপধরণ নেই

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে গতকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আট জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৮ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৭৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আটজনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী ভারতে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সরকার সতর্ক অবস্থায় আছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, করোনার অমিক্রন ধরনের জেএন ডট ওয়ান উপধরন এরই মধ্যে ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশে শনাক্ত হয়নি। করোনাভাইরাসের নমুনা নিয়ে প্রতিনিয়ত জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দেশে নতুন উপধরন পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে জানানো হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...