নভেম্বর ২২, ২০২৪

নাদিয়া চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তার শোবিজ ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নাটকেই বেশি অভিনয় করতে দেখা যায়।

সম্প্রতি তিনি কলকাতার ছবিতে অভিনয়ের কথা জানিয়েছেন। ওই ছবি ছাড়াও নিজের চলমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। নিজের ব্যস্ততা নিয়ে বলেন, অভিনয়শিল্পীর ব্যস্ততা তো অভিনয় ঘিরেই থাকে। খণ্ড নাটক, ধারাবাহিক, শর্টফিল্ম, বিজ্ঞাপন – এসব নিয়েই আমি ব্যস্ত আছি।

সম্প্রতি একটা বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং করলাম। কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কলকাতার ছবি করছি শিবরাম শর্মার পরিচালনায়। এতে একটা সোশ্যাল মেসেজ থাকছে। বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রি আবার কলকাতায় গিয়ে ছবিটির বাকি কাজ শেষ করে আসবো। শুরুতে এটি চলতি বছর মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু এখন সেটা সামনের বছর মুক্তি পাবে বলে জেনেছি।

নাদিয়া কাছে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ছিল – প্রথম ছবি দেশে না হয়ে কলকাতায় হলো কেনো ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের কেউ হয় তো ভাবেননি যে, আমাকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানানো যায়। তাই দেশের আগে বাইরে কাজ করতে হচ্ছে। তবে কলকাতার কাজের পরিবেশ আর দেশের কাজের পরিবেশ অনেক ভিন্ন। কলকাতার সবকিছু অনেক পরিকল্পনা মাফিক হয়। সেখানকার সব একদম যথাযথভাবে গোছানো থাকে। আর তারা অনেক যত্ন নিয়ে কাজ করে। এমনকি আর্টিস্টদেরও অনেক যত্ন নেয় ওরা। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এসব কমতি রয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেট ইস্যু তো অন্যতম। নাটক নিয়ে জানতে চাইলে টেলিভিশনের এই প্রিয়মুখ বলেন, একটা সময় আমরা অনেক সুন্দর গল্প নিয়ে কাজ করতাম। এখন সেটা অনেক কমে গেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে গল্প হারিয়ে গেছে। সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। এখন সবাই ভাইরাল হওয়ার জন্য কাজ করেন। তারা বোঝেন না যে, এসব কাজ কেউ মনে রাখে না। ক্ষণিকের জন্য মানুষকে বিনোদন দিয়ে কী লাভ ? যদি কেউ আমার কাজ বা গল্পটা মনেই না রাখে, তাহলে শিল্পী হিসেবে আমার সার্থকতা কোথায় ?

ওটিটিতে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব একটা না। ভিকি জাহেদের ‘রেডরাম’ করেছি। এরপর আর নতুন করে কিছু করা হয়নি। আসলে ওটিটির একটা সিন্ডিকেট আছে। ঘুরে ফিরে একই মানুষ নিয়ে কাজ করছে সবাই। তাই হয়তো আমার কাছে কাজের প্রস্তাব কম আসে। অভিনয়ের পাশাপাশি আর কী করছেন ? তিনি বলেন, আমাদের ফ্যামিলি বিজনেস আছে। আমার মায়ের পার্লার আছে। সেখানে সময় দিই। সেগুলো নিয়েই এগোচ্ছি। যেহেতু আমি এখনও বিয়ে করিনি, তাই আমার সব মনোযোগ বাবা – মায়ের ওপর দিতে পারছি। পাশাপাশি নিজেকে আরও সাবলম্বী করার চেষ্টা করছি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...