নভেম্বর ২৪, ২০২৪

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববারের (২৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুকুনুজ্জামান, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।

পরে শাহীন আহমেদ বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এস আলম গ্রুপের যে অর্থ পাচারের বিষয়গুলো আসছে, সে বিষয়ে তারা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। এটি কোন পর্যায়ে আছে তা এখনও হাতে আসেনি। তথ্যগুলো হাতে পেলে আদালতকে জানানো যাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিটটি রোবার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয় এবং এস আলম গ্রুপের অর্থ পাচার অভিযোগের ওপর কী অনুসন্ধান চালছে তার সব তথ্য রোববারের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

গত সপ্তাহে করা রিটে এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোম্পানির পরিচালকসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক ও অন্যান্য ব্যবসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ করা মোট ঋণের পরিমাণ, বর্তমান অবস্থা ও দায়সহ কয়েকটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান রিটকারী আইনজীবী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, অর্থসচিব, আইনসচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ সংশ্লিষ্টদের ওই নোটিশ পাঠানো হয়। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিটটি করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...