ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (দ্রুতগতির উড়াল সড়ক) বিআরটিসির বাস চলাচল শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির আটটি বাস দিয়ে শুরু হলো এ যাত্রীসেবা। আজ সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় বিআরটিসি বাস চলাচল উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লাহ নুরী। এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন আটটি দ্বিতল বাস চলবে। যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করে পর্যায়ক্রমে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে বেসরকারি বাস চলাচলের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা বলেন, কম সময় ও যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যাবে। এই সার্ভিসটি চালু করায় সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হলো।
ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিরতিহীন সেবা ‘শাটল সার্ভিস’ হিসেবে চলবে এসব বাস। অর্থাৎ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বাস চলবে। অন্য পথে চলবে না।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে বাসপ্রতি ১৬০ টাকা টোল দিতে হলেও বাসের যাত্রীদের আপাতত বাড়তি ভাড়া দিতে হবে না। ঢাকার অন্য বাসের মতো কিলোমিটারে দুই টাকা ৪৫ পয়সা ভাড়া দিতে হবে।
বাসগুলো বিজয় সরণি ফ্লাইওভার হয়ে এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে। তারপর বিরতিহীন যাবে। পথে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না। বিমানবন্দর র্যাম্প দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেস থেকে নামবে। এ পথে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। তবে উত্তরার জসিম উদ্দীন মোড় পর্যন্ত গেলে দিতে হবে ৪০ টাকা।
জসীম উদ্দীন মোড় ঘুরে বিআরটিসি বাস কাওলার র্যাম্প দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে। তারপর সরাসরি চলে আসবে ফার্মগেট। ফার্মগেটের র্যাম্প দিয়ে নেমে আবার খেজুরবাগান যাবে। কাওলা থেকে খেজুরবাগানের ভাড়া ৩০ টাকা।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মিলবে যেসব সুবিধাঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মিলবে যেসব সুবিধা
গত দুই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেন।
এরপর তিন সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ওইদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ৭৯টি বাস চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। তবে নানা জটিলতায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকারের এ সংস্থাটি।