ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় মো. সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ পরোয়ানা জারি করেন।
সোমবার (৩ জুন) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি সিয়ামের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। পরে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। নেপালে পলাতক সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি আক্তারুজ্জামানের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
এর আগে শনিবার (১ জুন) রাতে ডিবির একটি সূত্র জানায়, এমপি আনার হত্যায় জড়িত আসামি সিয়ামকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য অবস্থান বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবির মাধ্যমে কাঠমান্ডু পুলিশের এনসিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের অনুরোধ করা হয়েছে। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাঠমান্ডু পুলিশ কাজ শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানিয়েছে ডিবি।
ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত ১৩ মে কলকাতায় আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়ামও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি কলকাতা থেকে নেপাল চলে যান। এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ যে আক্তারুজ্জামান শাহীনের কথা বলছে, তিনিও ২০ মে ঢাকা থেকে দিল্লি হয়ে কাঠমুন্ডু যান। পরে সেখান থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
এদিকে, এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য শনিবার (১ জুন) সকালে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। প্রতিনিধি দলে ডিবির দু’জন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।