এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের খুনের ঘটনায় নেপাল যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সিআইডির একটি দল। তদন্তকারী কর্মকার্তাদের অনুমান, আনোয়ারুল খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান কলকাতা থেকে কাঠমান্ডু হয়ে পালিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে অনুমান, হয় দুবাই, নয়তো আমেরিকায় পালিয়েছেন অভিযুক্ত।
আনোয়ারুল খুনের ঘটনায় প্রায় প্রতি দিনই কোনো না কোনো চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটটি ২০১৮ সালে ভাড়া নিয়েছিলেন মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান। সিআইডির অনুমান, ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটেই আনোয়ারুলকে নিয়ে আসা হয়। তার পর খুন করে প্রমাণ লোপাট করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই আখতারুজ্জামানের খোঁজ চলছে। খুনের ঘটনার পর পরই দেশ ছেড়েছেন তিনি। প্রথমে কলকাতা থেকে নেপালে যান আখতারুজ্জামান। তবে পরে সেখান থেকেও পালিয়েছেন তিনি।
আখতারুজ্জামান নেপালে কোথায় উঠেছিলেন, তার পর সেখানে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন ইত্যাদি প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই সিআইডির একটি দল সে দেশে যাচ্ছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত সিয়াম নেপালে থাকতে পারেন বলে সিআইডি সূত্রে খবর। এই অভিযানে সিআইডি গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন সিয়ামও। খবর- আনন্দবাজার পত্রিকা
প্রসঙ্গত, আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে পর পর তিনবার এমপি নির্বাচিত হন। গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান তিনি। সেখানে বরাহনগর থানার মগুলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামের এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলে তার আর খোঁজ মেলেনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন।