এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের যাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এবার আমরা একটা ভোগান্তিহীন ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এরচেয়ে ভোগান্তিহীন যাত্রা অনেক বছর ধরে হয়ে উঠেনি।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল করতে না দেওয়ায় বাইকাররা অসন্তোষ ছিল। চালু করে দেওয়ার পর তরুণরা যে শৃঙ্খলার সঙ্গে চালিয়েছে তা অনন্য। সুশৃঙ্খলভাবে তারা পদ্মা সেতুতে যাতায়াত করছেন।
তিনি বলেন, গাজীপুর রুটে বিআরটি প্রজেক্ট নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পেরেছে। মানুষের ফিরে আসতে শুরু করেছে। ঘরমুখো যাত্রা যেমন স্বস্তিদায়ক ছিল, তেমনি ফিরে আসাটাও যেন স্বস্তিদায়ক হয়। ঈদের আগে সড়ক দুর্ঘটনা কম হলেও পরের যাত্রায় দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। এ সময় একটু কঠোরভাবে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। কর্মস্থলে ফেরার যাত্রা নিরাপদ করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন, যাতে অতীতের পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে। এবার সবাই ইতিবাচক বলছে, স্বস্তিদায়ক যাত্রা হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এটি সম্ভব হয়েছে। কেউ কাজে ফাঁকি দিয়েন না। কাজকে ফাঁকি দেওয়া মানে দেশকে ফাঁকি দিয়েছেন। বিশ্ব সংকটের মধ্যে আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর আমরা সামনে থেকে দেখেছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছর নির্বাচনের বছর। অনেকগুলো কাজ রয়ে গেছে। এমআরটি লাইন-৬ এ বছর শেষ করার কথা বলেছি, সেভাবেই কাজ এগুচ্ছে। আমরা একটা প্রকল্পে পিছিয়ে ছিলাম বাস র্যাপিড ট্রানজিট, সেটা অনেকটা ইম্প্রুভ করেছে। এবার যানজটের বিড়ম্বনা সেভাবে সইতে হয়নি। ভবিষ্যতের জন্য আরও কিছু কাজ আছে, সেগুলো আমাদের শেষ করতে হবে। ঢাকা-সিলেট শুরু হলো, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৬ লেন করতেই হবে। খুলনা-যশোর, নড়াইল থেকে বেনাপোল, ভাঙ্গা-বরিশাল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এগুলো করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করছি।