জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। আজ রোববার (৯ জুন) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এর (এপিএ) মাধ্যমে আমরা সময় যেমন কমাতে পেরেছি কর্মসম্পাদন করার ক্ষেত্রে, একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি। আমরা ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি। সময়ও সাশ্রয় করতে পেরেছি।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী তিনি বলেন, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কি কি কাজ আমরা করব সেই তালিকা করা, কীভাবে করবো সেই কর্মপন্থাও নির্ধারণ করা হয়।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব দপ্তর-সংস্থা তাদের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনের জন্য যে কর্মকাণ্ডগুলো আছে, সেগুলোর খসড়া তারা দাখিল করে। গত ৯ মে মন্ত্রণালয়ের এপিএ টিমের সভায় তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ৩০ মে দপ্তর-সংস্থা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এপিএ-এমএস’র মাধ্যমে তাদের চুক্তি-এপিএ দাখিল করেছে। আজকে সেই চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো বিবেচনার মধ্যে রেখেই বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কাজগুলো সম্পাদন করে থাকি। এভাবেই যথাযথভাবে আমাদের অর্জনগুলো করতে পারছি।
তিনি বলেন, আজকে যে চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে আশা করি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকবো।
পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন আটটি দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে এপিএ চুক্তি সই হয়। দপ্তর-সংস্থাগুলোর পক্ষে দপ্তর-সংস্থাগুলোর প্রধানরা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এপিএ চুক্তিতে সই করেন।