ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্র, স্যালাইনসহ হাসপাতালে সার্বিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হলে এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেনেভা ও লন্ডন ট্যুর নিয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি যথেষ্ট। তবে এডিস ঠেকাতে না পারলে চিকিৎসা প্রস্তুতি হাজার নিয়েও লাভ নেই। ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আলোচনার জন্য দ্রুতই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত।
এখন একেবারে উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। আমাদের গাইডলাইনও আছে। সুতরাং কোনো অসুবিধা হবে বলে আমি মনে করি না। সবাই যদি সচেতন হয়, তাহলে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব।
সামন্ত লাল সেন বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত। শিগগিরই এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে।
যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা জোরদার করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করা উচিত।
অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো চাপে এই অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছি কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো চাপের মধ্যে নেই আমি। আমি একদম স্পষ্টভাবে বলি আমার ওপর কোনো চাপ নেই।
তিনি বলেন, আমি কারও কথাও শুনি না। এটা (অভিযান) বন্ধ ঠিক হয়নি, আমরা কিছুটা সময় দিয়েছি যাতে তারা সংশোধন হয়। একসঙ্গে বাংলাদেশের সব ক্লিনিক বন্ধ করে দিতে তো পারবো না। আমি আবার শুরু করবো।