নভেম্বর ২৩, ২০২৪

চলতি মেৌসুমে পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব গেছেন প্রায় ২২ হাজার যাত্রী। বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত এসব হজযাত্রী ৫৫টি ফ্লাইটে সেৌদি আরব গেছেন। কিন্তু বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৬ হাজারের বেশি হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি। যদিও নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেছে। ফের আবেদনের সময় বৃদ্ধির জন্য সেৌদি সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।

বুধবার (সপ্তম দিন) পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৭ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে দুটি ফ্লাইটে ৮৩৮ জন, সেৌদি এয়ারলাইন্সে তিনটি ফ্লাইটে ১ হাজার ২৩৯ জন যাত্রী সেৌদি আরব গেছেন। ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, বুধবার ভোর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সেৌদি আরবে জেদ্দার উদ্দেশে পাঁচটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। এতে ২ হাজার ৭৭ জন যাত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন।

এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় ভিসা হয়নি ৬ হাজারে বেশি হজযাত্রীর। ভিসার আবেদনের সময় শেষ হয়ে গেলেও নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি সেৌদি আরব। তবে আবেদনের সার্ভার সচল রয়েছে। দ্রুত বাকি ভিসার কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। এদিকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সেৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকায় নিযুক্ত সেৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান গণভবনে সেৌজন্য সাক্ষাত্ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ভিসার আবেদনে সময় ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকারিভাবে হজযাত্রীদের ভিসা হয়ে গেলেও ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই এ বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফায় সময় ১১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে নতুন করে ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধি না করে আবেদনের সার্ভার খোলা রেখেছে সেৌদি আরব।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, ঢাকা হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সেৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন। এতে সরকারিভাবে নিবন্ধনকৃত ৪ হাজার ১২৪ জনের ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রায় ৭৪ হাজার জনের ভিসা হয়েছে। এখনো ৬ হাজারের বেশি হজযাত্রী ভিসা পাননি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...