১১ টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। এরমধ্যে একটির ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এটি চলতি অর্থবছরের ৮ম সভা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আবদুল বাকী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমদাদউল্লাহ মিয়ান।
একনেক সভায় নতুন ১০টি প্রকল্প উত্থাপন করা হয়েছে। তারমধ্যে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৩টি। কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ৫টি। আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ১টি। শিল্প ও শক্তি বিভাগের ১টি। তা ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ১টি ও একনেকে অবগতির জন্য ২টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৩টি প্রকল্পের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিশরে কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত)। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদী বর্ডার (এন-৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ ও প্রস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।
কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) ও ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট।
স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাসমূহের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) এবং প্রোমোটিং রেজিলেন্স ফর ভালনারেবল থ্রট এক্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভড স্কিলস এন্ড ইনফরমেশন (তৃতীয় পর্যায়)।
আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)। শিল্প ও শক্তি বিভাগের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁতে বোর্ড কমপ্লেক্স স্থাপন।
মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের বাংলাদেশ বেতার শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (প্রথম পর্যায়) ৩য় সংশোধিত।