ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গত ১৫ বছরে সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর কাজ করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ত্রুটি ও ব্যর্থতা থাকতে পারে; কিন্তু বড় পরিসরে দেশ অনেকটা এগিয়েছি।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সংস্থাটির আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আর্টিক্যাল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলমের সঞ্চালনায় এই আলোচনায় আরো অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, বাংলাদেশে ইউনেসকোর প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশি স্পন্সরশিপে অপপ্রচার চালানো হয় বলে মন্তব্য করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গণমাধ্যম ও সিভিল সোসাইটি সরকারের অংশীজন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারকে আপনি যেকোনো সময় চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন, প্রশ্ন করতে পারেন। এটাতে কোনো সমস্যা নেই।’

আদানি ও রামপাল নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবেশের উন্নয়ন চাই, পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন চাই।

কিন্তু রামপাল নিয়ে অনেক ভুল তথ্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। অনেক মিথ্যা কথা ছড়ানো হয়েছে। রামপাল নিয়ে আপনার ভিন্ন চিন্তা থাকতে পারে; কিন্তু সেটার ভিত্তি হতে হবে ফ্যাক্টস, মিথ্যা না।’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যাচার করা হয়েছে যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভারতে করতে দেওয়া হয়নি, এ জন্য বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি করা হয়েছে।

এনটিপিসি যারা আমাদের পার্টনার তাদের ঠেকা পড়েনি যে এখানে প্লান্ট করবে। ভারতের নিজেরই প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন। আমরা নিজের স্বার্থে তাদের এনেছি। এনটিপিসি নিজে ৭০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওর আরো ৭০ হাজার উৎপাদন করার সক্ষমতা আছে।

ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে আমরা বিনিয়োগ এনেছি, এনটিপিসির সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছি। যেহেতু তাদের বিনিয়োগ ৫০ শতাংশ, অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ লাভ নেওয়া যাবে। দিন শেষে এটা ব্যবহার করবে এ দেশের মানুষ। এটা পুরোটাই বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করে।’

প্রথম কেবিনেট মিটিংয়েই প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনি বলেছেন, যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের অনেকের ক্ষেত্রে সমালোচনা হতে পারে। কিছু কিছু সমালোচনা হয় সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, সেখান থেকে ব্যর্থতা বা ত্রুটিগুলো সংশোধনের কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার বিপক্ষে নন। কিন্তু উনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।’

পরিবেশ সাংবাদিকতাকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় দুর্নীতি ও পরিবেশদূষণ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে, তার সুরক্ষা সরকার দেবে। কেননা সরকার পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...